
হলধর দাস: নরসিংদীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে নরসিংদীর কৃতি চারুশিল্পীদের ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ আঁকা ছবি ও ভাস্কর্য নিয়ে ৩দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী ২৮ মার্চ সম্পন্ন হয়েছে।
২৬ থেকে ২৮ মার্চ সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সদর উপ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে
ছিল এ প্রদর্শনীর আয়োজন।
প্রদর্শনীতে ১৯ জন চারুশিল্পী'র আঁকা ৩৬টি ছবি ও ৬টি ভাস্কর্য স্থান পায়।
উনিশ জন চারুশিল্পী'র মধ্যে রয়েছেন- আব্দুল কাদির,সাদেক মুকুল,আশরাফুল কবির কনক, অরুণ চন্দ্র বর্মন, আবু আল নঈম, আরিফ বাচ্চু, আরজিনা আহসান, উত্তম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিন, মোঃ কাজল আহমেদ (হালিম), মুহাম্মদ মেহেদী হাসান,মীর বাছিরুন নেছা শান্তা , মোঃ রবিন শিকদার,রানিয়া আলম,নাঈম মৃধা,সুশান্ত কুমার সাহা(অনুপম),শাশ্বতী দে,সিগমা হক অংকন ও হুমাইয়া রশিদ হিয়া।
প্রদর্শনীতে ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ছবি ও ভাস্কর্য থাকলেও দর্শকের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম এবং হতাশাজনক।
ক্যানভাসে এ্যাক্রেলিক মাধ্যমে আব্দুল কাদির এর আঁকা "মুক্তিযোদ্ধা" শিরোনামের শিল্পকর্মটি
যেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্যূপটে নিয়ে যায়।
একইভাবে পেপার ফ্লোডিং মাধ্যমে "শকুন" শিরোনামে আঁকা আশরাফুল কবির কনক-এর শিল্পকর্ম, ক্যানভাসে অরুন চন্দ্র বর্মনের আঁকা "একাত্তরের গণ হত্যা", আরিফ বাচ্চুর আঁকা" বীরঙ্গনা কাব্য-১", আরজিনা আহসান ও সুশান্ত কুমার সাহার আঁকা "বীরঙ্গনা", উত্তম ঘোষের ভাস্কর্য " বঙ্গবন্ধু ", মোহাম্মদ রবিন এর ক্যানভাসে তেল রং এ আঁকা " স্বাধীনতার মহানায়ক", পেপার এ্যাক্রেলিক-এ করা মীর বাছিরুন নেছা শান্তা'র শিল্পকর্ম "স্বাধীনতার ক্ষত", মোঃ রবিন সরকারের "মুক্তিযোদ্ধা ", রানিয়া আলমের শিল্পকর্ম " অন্তরালে দৃষ্টি ", সাদেক মুকুল-এর কালি কলম মাধ্যমে আঁকা "বীর সৈনিক ", সিগমা হক অংকন এর অ্যালুমিনিয়াম মাধ্যমে করা শিল্পকর্ম " বীরঙ্গনা" এবং হুমাইয়া রশিদ হিয়া'র ক্যানভাসে এ্যাক্রেলিক মাধ্যমে করা শিল্পকর্ম "ঊনসত্তর ও আসাদ" সব ছবি ও ভাস্কর্যই যেন ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর নির্মমতার চিত্র এবং মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব স্বাধীনতা সংগ্রামের বাস্তব দৃশ্যপট।
পবিত্র মাহে রমজান থাকায় চিত্র প্রদর্শনীতে মানুষজনদের উপস্থিতি কম ছিলো বলে কেউ কেউ মনে করেন।
গত ২৬ মার্চ চিত্র প্রদর্শনীটি শিল্প মন্ত্রী এডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি এর উদ্বোধন করার কথা থাকলে তিনি আসেননি। দীর্ঘ সময় উদ্বোধনের অপেক্ষায় থেকে তা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম।
২৮ মার্চ সমাপনী অনুষ্ঠানেও আয়োজকদের কেউ ছিলেন না।