• নরসিংদী
  • সোমবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ১৬ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  সোমবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ;   ১৬ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
website logo

স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীরের তেলেসমাতিতে সর্বশান্ত প্রবাসীর পরিবার- পর্ব ১


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:১৫ পিএম
স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীরের তেলেসমাতিতে সর্বশান্ত প্রবাসীর পরিবার- পর্ব ১
স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীর

স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীতে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক স্কুল শিক্ষকের প্রতারনার শিকার হয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা খুইয়ে বর্তমানে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে এক প্রবাসীর পরিবার। প্রতারক জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ওই টাকা ফেরত পেতে প্রসাশনের দরজায় কড়া নাড়ছেন নাজমা আক্তার নামে ওই প্রবাসীর স্ত্রী।

ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার নরসিংদী শহরের  পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী বালুর মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী।

অপরদিকে প্রতারক জাহাঙ্গীর আলম নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরসুবুদ্ধি গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। চরসুবুদ্ধি মডেল হাইস্কুলের একজন সহকারি শিক্ষক। জাহাঙ্গীর আলম ভুক্তভোগী নারীর বাসার গৃহ শিক্ষক ছিলেন সেই সুবাদেই তাদের পরিচয়।

সম্প্রতি ওই গৃহবধূ স্থানীয় কয়েকজন সংবাদ কর্মীর দ্বারস্থ হয়ে স্ববিস্তারে স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীরের প্রতারনার কথা তুলে ধরেন। শুধু নাজমা আক্তার নয় তার মত আরো অনেক গৃহবধূ ও ব্যবসায়ীরা ওই শিক্ষকের প্রতারণার শিকার হয়।

ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার বলেন, জীবন জীবিকার তাগিদে তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন বিদেশ থাকতেন। বিদেশে তার কষ্টার্জিত টাকা দেশে স্ত্রী সন্তানে সংসার খরচের জন্য  পাঠাতেন। সংসারে খরচ করে কিছু টাকা ব্যাংকে সঞ্চয় করেন নাজমা আক্তার। জাহাঙ্গীর আলম নাজমা আক্তারের গৃহ শিক্ষক হওয়ার সুবাদে এক সময় সঞ্চিত টাকা দিয়ে এক টুকরো জমি কিনবে বলে জানায়। নাজমা আক্তার এর কাছ থেকে জমি কেনার বিষয়টি জানার পর প্রতারক জাহাঙ্গীর মনে মনে ছক আঁকতে থাকে। কি করে ওই অবলা নারীর কাছ থেকে সঞ্চিত টাকা হাতিয়ে নিতে পারেন। এর   কয়েকদিন পর গৃহ শিক্ষকের চাকরি ছেড়ে দেয় প্রতারক জাহাঙ্গীর।

পূর্বে আকা ছক অনুযায়ী জাহাঙ্গীর এর কিছুদিন পরেই নাজমা আক্তার কে এসে জানায় ঢাকার এবিএম হাউজিং নামে একটি ল্যান্ড বিজনেস কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বে আছেন তিনি। তাই নাজমা চাইলে তাদের ওই হাউজিং কোম্পানি থেকে জমি ক্রয় করতে পারেন। তার কথায় সরল বিশ্বাসে ৪১ লাখ টাকা জমা দেয় ওই নাজমা আক্তার।  বিশ্বাসী কোমলমতি নারী নাজমা আক্তারকে তার কথার ফাঁদে ফেলে এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহপুর জমি দেখতে নিয়ে যায়। জমি দেখা দেখির পর টাকা পয়সা লেনদেন শুরু হয়। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জমির জন্য কয়েক কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করেন তিনি । এবিএম হাউজিং লি: কোম্পানির সাথে জমি কেনার চুক্তিবদ্ধ হওয়ার তিন বছর পর জমি বুঝিয়ে দিতে বলে নাজমা আক্তার। কিন্তু ওই জমি কেউ নিয়ে গেছে বলে প্রতারক জাহাঙ্গীর তাকে জানায়। বিষয়টি খুকি আপা নামে তার এক চাচাতো বোনের স্বামী (সেনাবাহিনীর মেজর) সমাধান করার চেষ্টা করছেন বলে জানান জাহাঙ্গীর । এর কিছুদিন পর বিষয়টি মিটমাট হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর। নাজমার স্বামীর দেলোয়ার হোসেন বিদেশে কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে সেই টাকা স্ত্রীর কাছে পাঠায় আর স্ত্রী নাজমা ওই টাকা জমির কিস্তি বাবদ তুলে দেন প্রতারক জাহাঙ্গীরের হাতে। দীর্ঘ আট বছরে দেলোয়ারের স্ত্রীর জাছ থেকে জমির সম্পূর্ণ টাকা হিসেব করে মোট ৪১ লাখ টাকা নেয় ওই প্রতার জাহাঙ্গীর ।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমের কর্মস্থল চরসুবুদ্ধি  মডেল হাই স্কুলে উপস্থিত হয়ে তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, টাকা আমাকে নয় দিযেছে এবিএম কোম্পানীকে। টাকা চাইতে হলে কোম্পানির লোকজনের কাছে গিয়ে চাইতে বলেন, আমার কাছে কেন?  কোম্পানির লোকজন পালিয়ে গেছে এতে কি করার আছে আমার। তারা পারলে কোম্পানীর লোকজনকে গিয়ে ধরুক।
(চলবে)

শিক্ষা বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ