
নরসিংদী প্রতিনিধি : পলাশে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েল এর পক্ষ থেকে বুধবার নরসিংদী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে জুয়েলসহ তার অন্যান্য সঙ্গী সাথী ও দলীয় কর্মীদের উপর হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
জুয়েলের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বড় ভাই আলহাজ¦ মনিরুল কবীর সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জানান, জুয়েল একজন নিষ্ঠাবান, বিপুল জনপ্রিয়, কর্মঠ ও অত্যন্ত সততার সহিত জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মী হিসেবে বিগত ৩৬ বছর যাবত পলাশ উপজেলা তথা নরসিংদী বাসীর সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানের (এপিএস বাহিনী) নামে পরিচিত সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান বিএনপির স্থানীয় কমিটির প্রভাবশালী সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।
তারা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। গত ১৫ জুন ফজলুল কবির জুয়েল পলাশবাসীর সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করার উদ্দেশ্যে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজ বাস ভবন থেকে পলাশের বিভিন্ন স্থানে জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে বের হয় । শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে পিডিবির গোরস্থানের কাছে পৌছলে সন্ত্রাসী আলম মোল্লার নেতৃত্বে পাপন বাদশা, আরিফ, আমান উল্লাহ, লুৎফর, ইস্রাফিল, ইসমাইল, আল আমিনসহ প্রায় দেড়শত সশস্ত্র সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জুয়েলদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় জুয়েল দৌড়ে পার্শবর্তী একটি মসজিদের ভিতর আশ্রয় নিলে সেখানে তার উপর সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তার ভাতিজা তাকে রক্ষার জন্য গেলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তার ভাতিজা তৈয়ব আলী পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এছাড়াও পথচারী সোহেল, মিঠু, ইসমাইল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তপু, সাবেক ছাত্রদল নেতা সুমন, শ্রমিক দল নেতা আশিক সহ ৪০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এব্যাপারে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নানা জটিলতার সৃষ্টি করেন। অবশেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.মঈন খান এর এপিএস বাহাউদ্দিন মিলটনের নাম বাদ দিয়ে বাকীদের নামে পলাশ থানায় একটি মামলা রুজু করেন।
এছাড়াও ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলের বাড়িতে এপিএস বাহিনী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।