
স্টাফ রিপোর্টা : নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী গ্রামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় ধর্ষকসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ জুন) রাতে শিবপুর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ধর্ষক আব্দুল মান্নান (৫০) ও ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাকারী হানিফা মেম্বার। তাদের বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০ বছর বয়সী বুদ্ধী প্রতিবন্ধী এক নারীকে প্রতিবেশী আব্দুল মান্নান জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পেরে তাকে বিজ্ঞাসাবাদ করলে সে আব্দুল মান্নান জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে জানায়।
এলাকায় এ ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী হানিফা মেম্বার টাকার বিনিময়ে ধর্ষিতার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। মেম্বার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য হুমকি ধমকি দিতে থাকে। বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে থানা ও কোর্ট কাচারিতে যাওয়া থেকে বিরত রাখে।
পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি শিবপুর মডেল থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিক একটি মামলা রুজু করেন এবং আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক আব্দুল মান্নান ও ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাকারী হানিফা মেম্বারকে গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষণকারী আব্দুল মান্নান শিবপুর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং হানিফা মেম্বার একই গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে।
এব্যাপারে শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, মেয়েটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে বেশ কিছুদিন ঘটনাটি কেউ জানতে পারেনি। কিন্তু তার শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পায়। পরে স্থানীয় এক মেম্বার হানিফা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে। চাপের কারণেও ৮/১০ দিন পরিবারের সদস্যরা কোথাও আইনী আশ্রয় নিতে পারেনি। পরে স্থানীয় একজনের সহযোগীতায় পরিবারের সদস্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা দ্রুত মামলা নেই এবং আসামীদের গ্রেপ্তার করি।