নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নে যৌতুক না দেওয়ায় এক গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর ও দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার তিন বোনের বিরুদ্ধে। আহত গৃহবধূ মোছাঃ কুলসুম আক্তার (৩৮) বর্তমানে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ নভেম্বর রাতে। পরে ভুক্তভোগী মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বামীসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেন। তার করা অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন—স্বামী একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী পুরাতন কোন্দরবড়ী গ্রামের মৃত ফজলুল হক জজ মিয়ার ছেলে আজিজুল হক রাজন, এবং রাজনের তিন বোন সুরাইয়া আক্তার, আয়েশা আক্তার, ও আকলিমা আক্তার শান্তি।
কুলসুমের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে স্বামী ও ননদরা তার কাছে বাবার বাড়ি থেকে ২০ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তারা।
কুলসুম জানান, কয়েক বছর বাবার বাড়িতে পরে থাকলেও স্বামী রাজন তাকে ফিরিয়ে নিতে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠান। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের ডাকা শালিশের সিদ্ধান্তে তিনি স্বামীর বাড়ি ফেরেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে নতুন করে আবার যৌতুকের দাবি এবং নির্যাতন শুরু হয়।
২৬ নভেম্বর রাতে স্বামী রাজন ও তার বোনরা একসাথে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে রাজন দা দিয়ে কোপ দিলে তার মাথা ও হাত গুরুতরভাবে কেটে যায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে কুলসুমের ভাই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে ননদ সুরাইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন—“এ মহিলা মিথ্যাবাদী সে নিজেই নিজের মাথা ফাটিয়েছে। তবে চিন্তার কিছি নেই দুএকদিনের মধ্যে সবকিছুর নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।"
স্বামী রাজনও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কেউ কিছু করিনি। সে নিজেই জানালার গ্রীলে মাথা খুটে এ অবস্থা করেছে।
বেলাব থানার (ওসি) মীর মাহবুব হোসেন বলেন, মামলাটি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত চলছে।