
স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীতে অনুপ্রবেশকারী নেতাদের ভীড়ে সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। যাদেরকে মিছিল মিটিংসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে তারাই এখন বিএনপিতে। বসন্তের এই কোকিলদের ভীড়ে বিগত ১৬ বছর যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছে তাদেরই এখন জায়গা মিলছে না সামনের সারিতে।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি যখন চাঙ্গাভাব বিরাজ করছিল ঠিক সেই সময় কাগজে-কলমে নাম নেই তবু তিনি সর্বত্র পরিচয় দিয়ে বেড়াতো নরসিংদী শহর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলে। কয়েক মাস আগে যিনি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে বোল পাল্টে হয়ে গেছেন বিএনপি নেতা।
হ্যা আপনারা ঠিক ধরেছেন এতোক্ষন কথা হচ্ছির নরসিংদী জেলা শহরের বাসাইল এলাকার সাদা লুঙ্গী ও পাজ্ঞাবি পরে থাকা সেই রাজু মোল্লার কথা। বিগত আওয়ামী সরকারের সেই দিনগুলোর কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি নরসিংদীবাসী।
নরসিংদী-১ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরু বীর প্রতীক সমর্থিত গ্রুপটির এই নেতা এমপি হিরুর আশীর্বাদ পূষ্ট হয়ে জুলাইয়ের গণ আন্দোলনের পর দেশের পট পরিবর্তন হলে এই নেতা তার খোলস ছাড়ে।
জুলাই পরবর্তী সময়ে নরসিংদীর চেম্বার এন্ড কমার্সের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ শফিকুল ইসলাম তুলুর হাত ধরে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে পদ বাগিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় রয়েছেন এই নব্য বিএনপি।
নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে খায়রুল কবির খোকন ও মঞ্জুর এলাহী নির্বাচিত হলে হালে বিএনপির খাতায় নাম লেখানো এই নেতা তাদেরকে ফুলে দিয়ে বরণ করে নিয়ে নিজেকে বিএনপির যোগ্য নেতা বলে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চালায়। রাজনীতিতে রাজু মোল্লার এই ডিগবাজিতে বিএনপির তৃণমূলের ত্যাগী নেতারা দলের সিনিয়র নেতাদেরকে হুঁশিয়ার থাকার তাগিদ দেয়। কোন অবস্থাতেই বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘোষণার অন্যথা যেন না হয়, দলের সিনিয়র নেতাদের সে কথা মনে করিয়ে দেন।
এব্যাপারে আ'লীগ থেকে বিএনপির খাতায় নাম লেখানো রাজু মোল্লার সাথে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও মোবাইলটি বন্ধ দেখা। তাই কথা বলা সম্ভব হয়নি।