
হলধর দাস : নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অতিসম্প্রতি ধারাবাহিক তিনটি নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসকল হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে আলোকবালী ইউনিয়ন সচেতন নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধারাবাহিক হত্যার ঘটনায় ইউনিয়নবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তারা অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
নরসিংদী সরকারি কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও আলোকবালীর বাসিন্দা আহমেদ ইসলাম বলেন, “আমরা আতঙ্কিত। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক বন্ধন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।”
নরসিংদী সরকারি কলেজ সংসদের সাবেক জিএস ও আলোকবালীর বাসিন্দা শরীফ আহমেদ বলেন, “প্রশাসনের ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক আশ্রয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ জন মানুষ খুন হয়েছেন। এতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। লাঘব বোয়ালদের গ্রেপ্তার করে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে হবে।”
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,নরসিংদী জেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম কবির কামাল, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াস ভূইয়া, ক্রীড়া সংগঠক আওলাদ হোসেন মোল্লা, ছাত্রদলের সাবেক জেলা সেক্রেটারি আব্দুর রউফ ফকির রনি, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস শরীফ আহমেদ, আলোকবালী আব্দুল মান্নান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল বাতেন, নরসিংদী অক্সফোর্ড কলেজের লেকচারার জাহিদুল ইসলাম, জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আহমেদ ইসলাম, নিহত ইদন মিয়ার ছেলে কাজী হিমেল, নরসিংদী আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আসাদ সরকার, পৌলানপুর ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক হাবিবুর রহমান, কাজিরকান্দি আদর্শ একাডেমির প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও বহিষ্কৃত সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন মারা যান। বর্তমানে এলাকায় চরম আতঙ্ক ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।