হলধর দাস: নরসিংদীতে শুক্রবার ৫ দশমিক ৭ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। নরসিংদী সদর উপজেলার গাবতলি এলাকায় নির্মাধীন ভবনের দেয়াল ধ্বসে চাপা পড়ে ওমর ফারুক(১২) ও তার পিতা দেলোয়ার হোসেন (৩৭) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার তাদের মৃত্যু ঘটে।
পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা গ্রামের কাজম আলী (৭৫) মাটির দেয়াল চাপায় মারা যায়। এছাড়া,ডাঙ্গায় ভূমিকম্পে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নাসির উদ্দিন নামে আরেক জনের মৃত্যু ঘটে।
এছাড়া জেলার ছয়টি উপজেলায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ভুলাবো (মাধবদীর কাছাকাছি)
নামক স্থানে ভূমির ১০ মাইল গভীরে।
সকাল ১০:৩৮ মিনিটে কেপে উঠে গোটা জেলাসহ আশপাশের জেলা। ক্ষণিকের মধ্যে মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে সড়কে বেরিয়ে আসে। হিন্দু মহিলাদের উলোধ্বনির আওয়াজ আর ভয়ার্ত আওয়াজে একাকার হয় জেলার পরিবেশ। বড় কোন ভবন ধ্বসের ঘটনা না থাকলেও ছোট ছোট ফাটল দেখা দেয় বহু ভবন ও বাড়ি-ঘরে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানের ভবন থেকে নামার সময় আহত অন্তত শতাধিত নারী-পুরুষ ও শিশু নরসিংদী সদর, জেলা হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল ও সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন এবং নরসিংদী পুলিশ সুপার মোঃ মেনহাজুল আলম পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা আহতদের খোঁজ খবর নিয়েছেন।
পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম বলেন, ভূমিকম্পে জেলায় বিভিন্ন জায়গায় আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা একাধিক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। যেকোন দুযোগে জেলা পুলিশ সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। পুলিশ তাদের নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে।
আর পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন কাজম আলীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।