মো. রাসেল মিয়া: নরসিংদীর পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী আজহার আলী এম.বি.বি.এস ডিগ্রিধারী না হয়েও আল্ট্রাসনোগ্রাম এর প্যাডে নামের আগে লিখেন ডাক্তার। দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সাথে এমন প্রতারণা করে আসছেন তিনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে,আজহার আলী পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসহকারী পদে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রয়েছেন। এই সুবাদে তিনি নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে কমিশন ভিত্তিক অফিস টাইমে নিয়মিত আল্ট্রাসনোগ্রাম করে থাকেন।এছাড়াও তিনি রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানোসহ কমিশন বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। কমিশনের লোভে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করাচ্ছেন তিনি। এমনকি নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠান থেকে রোগীদেরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে আনতে বাধ্য করা হয় বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত আজাহার আলী বলেন,আমি ডাক্তার লিখতে পারিনা।তবে নিজেকে হোমিও চিকিৎসক দাবি করেন তিনি। হোমিও চিকিৎসক হয়ে আপনি এম.বি.বি.এস ছাড়া এলোপ্যাথিক চিকিৎসার ক্ষেএে কি করে ডাক্তার লিখেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কেটে পড়েন।
এই বিষয়ে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কাজী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম জানান, নূন্যতম এম.বি.বি.এস ছাড়া কেউ ডাক্তার লেখতে পারেনা। এটা আমি যেমন জনি আপনারাও জানার কথা। কেউ লিখে থাকলে তিনি অবশ্যই অপরাধ করেছেন।
প্রতারক এবং ভোয়া ডাক্তার আজহার আলীর বিরোদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।