স্টাফ রিপোর্ট : নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। অনেক রোগী সেবা না পেয়েই ফিরে যাচ্ছেন। জনবল সংকটের কারণে অস্ত্রোপচারও সম্ভব হচ্ছে না এখানে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার/ সহকারী সার্জনসহ মোট ১৭ টি পদ রয়েছে। এরমধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৪জন। এছাড়া বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ রয়েছে ১১ টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন পাঁচ জন। অপরদিকে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং কর্মচারী সংকট প্রকট।
জানা গেছে, এই উপজেলায় নিম্নআয়ের মানুষ বেশি থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জেলার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। প্রতিদিন গড়ে ৫০০-৬০০ রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তৈরি হয় লম্বা লাইন। এসব রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খান চিকিৎসকরা। এর মধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অধিকাংশ রোগী ফিরে যায়।
দীর্ঘ কয়েক বছর আগে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও জনবল বাড়ানো হয়নি। জনবল সংকটের কারণে অস্ত্রোপচারও সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলেও এক্স-রে করানো যায় না। কারণ, এক্সরের মেশিনটি অনেক পুরনো, কখনো সচল আবার অনেক সময় অচল।
শিবপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা আরিফা আক্তার জানান, তিনি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে এক মাসের ওষুধ না দিয়ে ১৫ দিনের ওষুধ দিয়ে বিদায় করে দেয়া হয়। আগে তিনি পুরো এক মাসের ওষুধ পেতেন। শুধু তিনি না তার মত অনেককে এভাবে বিদায় করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোনসতানশির বিল্লাহ বলেন, ‘এখানে নানা সমস্যা বিরাজ করছে। বিশেষ করে ডাক্তারসহ জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। তবে বর্তমানে ওষুধের তেমন ঘাটতি নেই। নিবন্ধনকৃত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধির কারণে তাদেরকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। এক্স-রে মেশিনটা অনেক পুরনো, তাই কখনো এক্স-রে করা যায়, আবার কখনো কখনো করা যায় না। তাই অনেক সময় রোগীকে বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হয়। আমরা বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।'