• নরসিংদী
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ৩১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  বৃহস্পতিবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ;   ৩১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
website logo

মরজালের ভারপ্রাপ্ত অবৈধ নিকাহ রেজিস্ট্রারকে অপসারণ দাবি


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৫১ এএম
মরজালের ভারপ্রাপ্ত অবৈধ নিকাহ রেজিস্ট্রারকে অপসারণ দাবি

নরসিংদী প্রতিনিধি : মরজালের ভারপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) আব্দুল খালেক মিয়াকে অবৈধ দাবী করে  তাকে নিকাহ রেজিস্টারের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট দাবী জানিয়েছেন সাবেক নিকাহ রেজিস্টার  মোঃ তাজুল ইসলাম। অভিযোগে প্রকাশ, মোঃ তাজুল ইসলাম মোল্লা, পিতা- মৃত রহমত আলী মোল্লা, সাং- মরজাল, থানা-রায়পুরা, জেলা- নরসিংদী

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে ১৯৯১ সালের ৬ জানুয়ারী রায়পুরা উপজেলাধীন মরজাল ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন । যার রেজিঃ নং- এন ২১৯/৭৮। উক্ত পদে নিয়োজিত থেকে তিনি  দীর্ঘদিন সুনামের সাথে কাজ করে আসছিলেন।  

২০২৪ সালে মোঃ তাজুল ইসলাম মোল্লা'র চলমান দায়িত্বের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সরকারী বিধি মোতাবেক কাজী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু গত বছরের ০৫ আগস্ট হাসিনার সরকার পরিবর্তনের কারণে কাজী নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। 

পরবর্তীতে জেলা কাজী সমিতির সভাপতি কাজী আলতাফ হোসেন সরকারী নিয়ম অমান্য করে তার শ্যালক শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের দায়িত্ব থাকা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) মোঃ আব্দুল খালেক মিয়াকে মরজালের ভারপ্রাপ্ত কাজীর দায়িত্ব প্রদান করে, যেটি সম্পূর্ণ বেআইনী । 

কারণ: কাজী মোঃ আব্দুল খালেক মিয়া তিনি সরকারী এমপিভুক্ত স্কুল খৈনকুট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং যোশর ইউনিয়নের মূল কাজী হিসাবে কর্মরত আছেন। বিধিমালা স্পষ্ট ভাবে লিখা আছে যে, কোন নিকাহ রেজিস্ট্রারকে যে এলাকার জন্য লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে, সেই এলাকা বা ওই এলাকার সংলগ্ন কোন ওয়ার্ড, পৌরসভা বা ইউনিয়নের কোন মসজিদ অথবা বেসরকারি স্কুল, কলেজ অথবা বেসরকারী মাদ্রাসা ব্যতিত অন্য কোথাও চাকরি করতে পারবেন না ।
কিন্তু উপরোক্ত বিধিমালাকে  তিনি তোয়াক্কা করেন না। 

তাছাড়া, তিনি শিবপুর থানা এলাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং তিনি শিবপুর থানার বাসিন্দা হওয়া স্বত্বেও রায়পুরা থানা এলাকায় কাজীর দায়িত্ব নিয়েছেন। যার ফলে,তিনি রায়পুরা এলাকায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয় বিবাহ কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারেন না। তিনি রাস্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নিকাহ রেজিস্ট্রারটি  অন্য লোকদের নিকট প্রেরণ করে থাকে। 

অবাধে রেজিস্ট্রার পাওয়ার এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাল্য বিবাহ, সরকার নির্ধারিত ফি-এর অধিক ফি আদায়, মিথ্যা/ভুয়া কাজীর  মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ আদায় করা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। 

কাজী আব্দুল খালেক একজন বয়োবৃদ্ধ লোক হওয়ায় এবং সরকারী বিধি মোতাবেক এ পদের যোগ্য না হওয়ায় এলাকাবাসী তাকে মরজাল ইউনিয়ন হতে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান। অন্যথায়, এলাকায় বাল্য বিবাহের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। 

এ পর্যায়ে এলাকাবাসী সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে কাজী আব্দুল খালেককে মরজাল ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টার হতে অব্যাহতি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ।
 

নরসিংদীর খবর বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ