
রায়পুরা প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরার আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সোহেল মিয়াকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সমন্বিত যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা মামলাসহ ২টি অস্ত্র মামলা এবং অন্যান্য অপরাধে আরও ৬টি মামলা রয়েছে। মোট ১২টি মামলার আসামি এই শীর্ষ সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
গ্রেফতারকৃত সোহেল মিয়া উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে রায়পুরা থানা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার আবদুল হান্নান।
পুলিশ সুপার বলেন, এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে হানিফ মাস্টার ও এরশাদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মোমেনা বেগম (৪৫) নামে এক নারী নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও তিনজন। সংঘর্ষের পর পরই নিরাপত্তা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে একাধিক সন্ত্রাসী গা ঢাকা দেয়।
অভিযান চলাকালে শ্রীনগর বাজারঘাট এলাকা থেকে পালানোর সময় মেঘনা নদীর পাড় থেকে মো. সোহেল মিয়াকে (৩৭) গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি এসবিবিএল একনলা বন্দুক, চারটি একনলা দেশীয় বন্দুক, দুইটি সিলভার কালারের ম্যাগাজিন, ৩০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, চার রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১২টি শর্টগানের কার্তুজ, দুটি বাটন ফোন, একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, নগদ এক হাজার ৫৫০ টাকা, এক ইউএস ডলার ও একটি পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) ভোররাতে রায়পুরা থানাধীন শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়েদাবাদ এলাকায় সংঘটিত গুলাগুলির ঘটনায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ৫৬ ইবি, নরসিংদী আর্মি ক্যাম্পের মেজর ইব্রাহীম আব্দুল্লাহ আসাদ, রায়পুরা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বায়েজিদ বিন মনসুর এবং র্যাব ক্যাম্প নরসিংদীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল রানা, পিপিএম-সেবা।