ভৈরবে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেলো ২০ জনের 

স্টাফ রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার জংশনে যাত্রীবাহী এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে, দুর্ঘটনার কারণে ঢাকার সঙ্গে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের সকল রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব বাজার স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্ধুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। এসময় জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় কন্টেইনারবাহী ট্রেনটির সঙ্গে এগারসিন্ধুর ট্রেনের সংঘর্ষ ঘটে।

তবে তাৎক্ষনিকভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহত বা নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি। নিহতদের শনাক্তের কাজও শুরু হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, ‘যাত্রীবাহী ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। ভৈরব থেকে যখন এটি রওয়ানা দেয়, ঠিক তখনই এটার সাথে কন্টেইনারবাহী ট্রেনটির সংঘর্ষ হয়। এগারসিন্ধুরের যে যাত্রীরা ছিলেন তাদের বেশিরভাগই কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা। কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরবের দূরত্ব কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। এ কারণে স্বজনদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো শনাক্ত করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।’

‘উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের ভৈরবের সরকারি হাসপাতাল এবং ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন। সন্ধ্যার পর থেকে আলো জ্বেলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আহত প্রায় সকলকেই বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রাতের মধ্যেই আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আসবে। উদ্ধারকারী ট্রেন আসলে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি সরানো হবে।’

রায়পুরা থেকে বরিশালে গিয়ে ধর্ষণ, অতপর গ্রেফতার

মাধবদী থেকে উদ্ধার হলো চট্টগ্রাম থেকে অপহৃত শিশুকন্যা, গ্রেফতার ১

কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশ সদস্যদের শ্রদ্ধা

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে অব্যাহতি

সীতাকুণ্ডের ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণে

পদোন্নতি পেলেন সুনামগঞ্জের এসপি মিজানুর রহমান বিপিএম