স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ২৩৭ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে নরসিংদী-৩ শিবপুর আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৎ ও যোগ্য ক্লিন ইমেজের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিস রিকাবদার। স্থানীয়ভাবে তিনি কালা মিয়া স্যার নামে পরিচিত।
আবুল হারিস রিকাবদার ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুথানে ও পরে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্মুখভাগে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে তিনি উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি প্রায় ৩০ বছর মাছিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৮৭ সালে গ্রামের মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে মাছিমপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রাম ধানুয়ায় শহীদ আসাদ কলেজিয়েট গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশাকেই বেছে নেন তিনি।
আবুল হারিস রিকাবদার দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের কাছেও তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সু-পরিচিত।
দলীয় সূত্র জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ক্লিন ইমেজধারী প্রার্থীদের প্রাধান্য দেবে বিএনপি। অপকর্মে জড়িত বা বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেবে না দলটি।
দলের নির্দেশনা মেনে মাঠ পর্যায়ে ক্লিন ইমেজ প্রার্থী হিসেবে আবুল হারিস রিকাবদার অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন তিনি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী ও ১৯৭৯ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া রাজপথের লড়াকু সৈনিক আবুল হারিস রিকাবদার । শিবপুর আসনের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জানা যায়,তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, বিভিন্ন গ্রামে এবং পাড়া-মহল্লায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে উঠান বৈঠক করে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন আবুল হারিস রিকাবদার। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন সার্বক্ষণিক।
তিনি তাঁর নেতৃত্বগুলো শিবপুর উপজেলা বিএনপি’কে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে।
উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতারা জানান , ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসন আমলে বিএনপির সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা নির্যাতন ও নিপীড়নমূলক মামলা হয়েছে। এসময় তাঁর নামেও মামলা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের মামলার তদারকিসহ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের খোঁজখবর রাখতেন আবুল হারিস রিকাবদার।
বাঘাব ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তরুণ মৃধা জানান, যদি দল সৎ ও যোগ্য ক্লিন ইমেজের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিস রিকাবদার কালা মিয়া স্যার কে দলীয় মনোনয়ন দেয় তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। বিএনপির একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আবুল হারিস রিকাবদার কালা মিয়া স্যার অত্যন্ত সৎ, আদর্শ ও নীতিবান রাজনীতিবিদ। সকল লোভ লালসার ঊর্ধ্বে উঠে তিনি নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবপুর আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ক্লিন ইমেজের স্বচ্ছ ও পরিছন্ন রাজনীতিবিদ আবুল হারিস রিকাবদার কেই দেখতে চান দলের তৃণমূল নেতাকর্মিরা। তিনি তার কার্যক্রম দিয়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় ও একজন নির্ভরযোগ্য প্রার্থী হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নূরুল আমিন রিকাবদার জাহান জানান, আবুল হারিস রিকাবদার কালা মিয়া স্যার কে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনে কেউ তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না। তিনি আরও বলেন শিবপুর আসনে বিএনপি দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আবুল হারিস রিকাবদার ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি। যার কোন দুর্নীতি , চাঁদাবাজি , টেন্ডারবাজি , ভূমি দখল, অবৈধ কোন প্রকারের অভিযোগ নেই। এমনকি তার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অন্যায় কাজ কেউ করেনি, তিনি একজন স্বচ্ছ ও পরিছন্ন রাজনীতিবিদ। তৃণমূল বিএনপির আস্থা ও ভরসার প্রতীক তিনি ।
আবুল হারিস রিকাবদার এ প্রতিবেদককে বলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দল যাকে মনোনয়ন দিবে, তার পক্ষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। আমি দীর্ঘদিন যাবত জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাথে আছি। তাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেতে আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবপুর আসনে যদি দল (বিএনপি) আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে তাহলে সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে এই আসনে বিএনপির বিজয় সু-নিশ্চিত করব, ইনশাআল্লাহ্।