
হলধর দাস : নরসিংদীতে মাদক নিয়ে বাকবিতন্ডে শুভ মিয়া(২০) নামে একজনকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রবিবার (২৫ মে ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নরসিংদী এর পুলিশ সুপার এস.এম মোস্তাইন হোসেন।
নিহত শুভ সদর উপজেলার শেখেরচর মোল্লাপাড়া এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো সদর উপজেলার শেখেরচর মোল্লাপাড়া এলাকার জাকির হেসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান(২৪); একই উপজেলার কুড়েরপাড় এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কবির হোসেন(২১) এবং পলাশ উপজেলার কুমারটেক এলাকার জালাল মিয়ার ছেলে আহম্মদ নাঈম(২৪)। তারা প্রত্যেকেই একে অপরের বন্ধু ছিলো। তারা সবাই একসাথে মাদক সেবন করতো।
পুলিশ সুপার জানান, গত ০৬ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার খিদিরপুর টেকপাড়া জানের মুখ ব্রীজের পাশে শুভ সহ ৫জন বন্ধু মাদক সেবন করছিলো । অন্যান্যদের মধ্যে হাবিবুর, কবির, নাঈম ও তাদের অন্য একজন বন্ধু মোট ছিলো।
মাদক সেবনকালে মাদক সংগ্রহ বিষয়ে শুভ'র সাথে হাবিবের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে হাবিবুর শুভ'র গলাচেপে ধরে ফিল ঘুষি মারতে থাকে। সাথে থাকা কবির, নাঈম ও 'অন্য একজন বন্ধুও শুভর নাকে মুখে এলোপাথারী কিল, ঘুষি মারতে থাকে।
পরে পাশে পড়ে থাকা ঘর বাঁধার একটি দড়ি শুভ'র গলায় প্যাঁচ দিয়ে দুইদিক থেকে টেনে ধরে। একপর্যায়ে শুভ মাটিতে পড়ে যায় এবং তার মৃত্যু হয়। পরে শুভ'র মরদেহ পাশের একটি ডোবায় ফেলে দিয়ে চারজন পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তারে নামে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), নরসিংদী। অতপর তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার (২০ মে ) নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি হাবিবুর রহমান ও কবির হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরদিন বুধবার (২১মে) চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার নায়েরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি আহম্মদ নাঈমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে নিহত শুভ'র ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। নিহত শুভ এবং আসামিরা প্রত্যেকেই একে অপরের বন্ধু ছিলো এবং একসাথে মাদক সেবন করতো। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
এছাড়া বাকি আসামিকে ধরতে অভিযান চলমান বলে জানান পুলিশ সুপার।