স্টাফ রিপোর্টার:নরসিংদীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুবদল কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১ জুন) বিকেলে নরসিংদীর চিনিশপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের নির্দেশে বর্তমান সরকারের রোষানলে পড়ে, মামলা-হামলার শিকার হওয়া কারা নির্যাতিত নরসিংদী জেলা যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের সেই ত্যাগ স্বীকার করে ফুলের মালা পড়িয়ে তাদেরকে সংবর্ধিত করা হয়েছে।
কর্মী মূল্যায়ন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান।
নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন হুসাইন বিদ্যুৎ এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে থাকা সহ সভাপতি রেজাউল করিম।
নরসিংদী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা জগলুল পাশা, কোষাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান সোহেল ও তৌফিকুর রহমান তুহিন।
এসময় নরসিংদী জেলা যুবদল সহ-সভাপতি হাসিবুর রহমান সোহরাব, শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান চৌধুরী সুমন, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির রাসেলসহ জেলা যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাকে আকড়ে ধরে রাখতে এবং পুনরায় সরকার গঠন করতে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে মামলা হামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রাখে। বিএনপির সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগ একটি প্রহসন মূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পুনরায় সরকার গঠন করে।
দলের জন্য যে সকল নেতারা কারা নির্যাতিত সহ মামলা-হামলা ও গুমের শিকার হয়েছেন তাদের খোঁজখবর নিতে বিএনপি দলীয় প্রধান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান আমাদেরকে দেশের বিভিন্ন জেলা যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশে আজকে আমরা নরসিংদী এসেছি।
বক্তারা বলেন, দেশের এই তৃণমূলের নেতাদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে দেশের অনেক স্থানে অনেক নেতা আওয়ামী লীগের রোশনালে পড়ে হামলার শিকার হয়ে আজ পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছে। যার নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আমরা ওই সকল নেতাদের আজকের এই সভায় সুস্থতা কামনা করছি। পাশাপাশি যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু'র মুক্তি দাবি করছি।