• নরসিংদী
  • বৃহস্পতিবার, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  বৃহস্পতিবার, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

নরসিংদী-১ আসনে নৌকার প্রতিপক্ষ নৌকা, লড়াই হবে বাঘে মহিষে


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৪৫ পিএম
নরসিংদী-১ আসনে নৌকার প্রতিপক্ষ নৌকা, লড়াই হবে বাঘে মহিষে

মো. শাহাদাৎ হোসেন রাজু: আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নরসিংদী-১ (সদর) আসনে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ‍্যে শুরু হয়েছে ব‍্যাপক জল্পনা-কল্পনা।  ইতোমধ‍্যে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থণা শুরু করেছে। নরসিংদী সদর আসনে নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এ আসনে নৌকার প্রতিপক্ষ থাকবে নৌকা, লড়াই হবে বাঘে-মহিষে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ছিলো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। নরসিংদী-১ (সদর) আসনে  মনোনয়নপত্র জমার শেষদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। এদের মধ‍্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ৩ জন এবং তারা সকলেই আওয়ামী ঘরনার। তারা হলেন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল নুরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া ও আ'লীগ নেতা আখতারুজ্জামান। আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে ডামি প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেন। দলীয় প্রধানের ঘোষণা অনুযায়ী এদের ৩ জনের মধ‍্যে কে হতে পারে ডামি প্রার্থী সেটাই এখন নরসিংদী সদরবাসীর প্রশ্ন? 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলে সেখানে ডামি প্রার্থীর প্রয়োজন নেই। যেখানে দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন‍্য কোন প্রার্থী নেই সেই জায়গায় ডামি প্রার্থী দিতে হবে। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে ডামি প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে আওয়ামী লীগ থেকেই। অন্য কেউ ডামি প্রার্থী বললে সেটা হবে না। স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হবে। 

নরসিংদী-১ (সদর) আসনে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও আক্তারুজ্জামান নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়। সেই হিসেবে এ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ছাড়াও নিজ দলীয় দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। বাকীরা সবাই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে লড়তে প্রার্থী হয়েছেন। যেহেতু এ আসনে বিভিন্ন দলের একাধিক প্রার্থী রয়েছে সে ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগে যুগ্ম সম্পাদক কারুজ্জামান নৌকার প্রার্থী মো. নজরুল ইসলামের ডামি প্রার্থী নয় বরং বলা চলে শুধুই স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী। তাছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কটৌক্তি করে দেওয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনের বক্তব‍্যে স্পষ্টত হয় যে সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতির দেওয়া বক্তব‍্য ভাবিয়ে তুলেছে নরসিংদী সদরবাসীকে। তার এই বক্তব‍্য আওয়ামী লীগ মনোনীত নজরুল ইসলামে বিরুদ্ধে সাবেক মেয়র কামরুলের  অবস্থান আরও দৃঢ় করবে বলে অনেকেই মনে করছেন।  শুধু তাই তার বক্তব‍্য সাবেক মেয়র কামরুলের জন‍্য চ‍্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী সদর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভা নিয়ে নরসিংদী-১ সংসদীয় আসনটি গঠিত। জাতীয় সংসদে আসন নং ১৯৯ এর মোট ভোটার ৪ লাখ ৩২ হাজার ১৮ জন। এদের মধ‍্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৯৬৭ জন আর মহিলা ২ লাখ ১১ হাজার ৫১ জন। এ আসনে ভোটযুদ্ধ লড়তে ১০জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুজ্জামানের মনোনয়ন বাতিল হয়।

এছাড়া অন‍্য ৯ জন প্রার্থী হলেন,  আওয়ামী লীগ এর মনোনীত প্রার্থী নৌকার মাঝি লে. কর্ণেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান কামরুল ও মো. জাকারিয়া, জাতীয় পার্টির প্রার্থী  মো. ওমর ফারুক মিঞা, তরিকত ফেডারেশনের মো. ছবির মিয়া, জাকের পার্টির মো. আওলাদ হোসেন মোল্লা, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির শাহজাহান মিয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া এবং তৃনমূল বিএনপি প্রাথী জলিল সরকার।

নরসিংদী সদর উপজেলা নিয়ে নরসিংদী-১ সংসদীয় আসন হওয়ায় জেলার সকলের দৃষ্টি এ আসনের দিকে। আপাতত দৃষ্টিতে সাবেক মেয়র কামরুল ছাড়া এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নজরুল ইসলাম হিরু সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারে এমন কোন শক্ত প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির নিজস্ব কিছু ভোট ব‍্যাংক থাকলেও তা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসার মত নয়। সেই ক্ষেত্রে আসনটি বিবাদমান নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের দুটি গ্রুপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদ্বন্ধিতার ক্ষেত্রে মর্যাদার বলে মনে করছেন উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা। কে হবেন এ আসনে আগামীর আইন প্রনেতা, কার গলায় উঠবে বিজয়ের মালা, সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে? 

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল না বিএনপি অংশ না নেয়ায় ভোটের মাত্র একমাস বাকী থাকলে এখনও সরগরম হয়ে উঠেনি ভোটের মাঠ। তারপরেও চায়ের দোকানগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন কেন্দ্রিক যতটা আলোচনা চলতে দেখা যায় তা শুধু নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলামও মেয়র কামরুজ্জামানের মধ‍্যেই সীমাবদ্ধ।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নেতাকর্মীরা দুটি আলাদা  প্লাটফর্মে অবস্থান নিয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম হিরু বীর প্রতীক। অপরটির নরসিংদী জেলা  আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল। বিগত সময়ে এ দুটি গ্রুপ দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ড আলাদা আলাদা ভাবে পালন করতে দেখা গেছে।

কখনো কখনো আবার সামনাসামনি অবস্থান নিয়ে কর্মসূচিগুলো পালন করতেও দেখা যায়। দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আইডির মাধ্যমে এ দুটি গ্রুপকে সর্বদাই একে অন্যের পরনিন্দা পরচর্চায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও গ্রুপ দুটি প্রধানরা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াই লড়ছে। তাদের মধ‍্যে লে. ক. (অব.) মো. নজরুল ইসলাম হিরু মনোনীত হয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী অপরদিকে সাবেক মেয়র কারুজ্জামান কামরুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হয়ে লড়ছেন। ভোট যুদ্ধ পাড়ি দিতে এখনও অনেক পথ বাকী। ইতোমধ‍্যে মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাইয়ে উভয় বৈধ প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে টিকে রয়েছে।  তবে এদের দুজনের শেষমেশ বলবৎ থাকবে কিনা তার জন‍্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর  পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ওই মনোনয়নপত্র ওঠানোর শেষদিন। তাই নরসিংদী সদরবাসীর দৃষ্টি এখন ১৭ ডিসেম্বর।

ওইদিন পর পর থেকে ভোটযুদ্ধের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে। নরসিংদী সদরবাসী মনে করছে ভোটের লড়াইয়ে দলীয় চাপকে পাশ কাটিয়ে মেয়র কামরুল শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে কিনা তা দেখতেই অধির আগ্রহে আছে। মনে করছে ভোটের লড়াই থেকে মেয়র কামরুল সরে দাঁড়ালে নরসিংদীর সদর আসনে নির্বাচন হবে এক পেশি, কোন রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া নির্বাচনী বৈতরণী পার করবে নজরুল ইসলাম হিরু। নির্বাচনে জয়লাভ করতে তাকে কোন বেগ পেতে হবে না। তবে সাবেক মেয়র সবকিছুকে বাদ নির্বাচনে লড়ার মানুষিকতা পোষণ করে শেষ পর্যন্ত ভোটযুদ্ধ চালিয়ে গেলে নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে। 

এব‍্যাপারে মেয়র কারুজ্জামান কামরুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই, অপেক্ষা করেন কয়েকদিনের মধ‍্যে সবকিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এক সময় নরসিংদী শহরে ইউএমসি জুট মিলস ও আলীজান জুট মিলস নামের দুটি বড় পাটকল ছিলো। আর ওই পাটকল দুটিতে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ করতো।  পাটকল দুটির এই শ্রমিকরা সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের হাতে গড়া সংগঠন জাতীয় পার্টির নির্দিষ্ট ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ছিলো। বর্তমানে পাটকল দুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শ্রমিক নরসিংদী ছাড়লেও বেশ সংখ‍্যক শ্রমিকই সদর উপজেলার এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তাই এখনো জাতীয় পার্টির কিছু নির্দিষ্ট ভোট ব্যাংক রয়েছে বলে মনে করছেন সদরবাসী। এছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোঃ ওমর ফারুক মিয়া একজন সমাজ কর্মী হিসেবে রয়েছে সদরে ব্যাপক পরিচিতি। তিনি জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।  ভোটের লড়াইয়ে তিনিও সমনমানজনক অবস্থায় থাকবেন বলে অনেকে মনে করছেন।

জাতীয় পার্টির মো. ওমর ফারুক মিঞা বলেন,  সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের ৯ বছরের শাসন আমল ছিল এদেশের উন্নয়নের স্বর্ণযুগ। জাতীয় পার্টির  শাসনামলে এদেশের অবকাঠামগত যত উন্নয়ন হয়েছে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আর কোন সরকার তা করতে পারেনি। এরশাদ সরকারে নেয়া কয়েকটি পদক্ষেপ আজও মানুষ স্মরন করে।

এরশাদের নেয়া স্বাস্থ‍্য নীতি বা ওষুধ নীতি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। পাশাপাশি শিক্ষানীতি ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে শাসন ব‍্যাবস্থ‍াসহ প্রশাসনকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। এরশাদ পরিকল্পনা মাফিক নতুন নতুন রাস্তাঘাট সৃষ্টি করেছে কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো সেগুলো সংস্কার করেছে মাত্র, সৃষ্টি করতে পারেনি তাই এ দেশের রাষ্ট্র পরিচালনায় আবারো জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়  আনলে এ দেশের উন্নয়ন হবে বলে দেশবাসী মনে করেন। তার জন‍্য লাঙ্গলের বিকল্প নেই।  তাই প্রতিকে ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দিতে আমি নরসিংদী সদরবাসীকে অনুরোধ করছি।

অপরদিকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের আশেকান ভক্তরা জাকের পার্টির ভোটার বলে ধরা হয়। ভোটের হিসেবে জাকের পার্টিরও হাতেগোনা তিন থেকে চার হাজার ভোট রয়েছে বলে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে।

জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন বলেন, নরসিংদী সদরে আমাদের সাত থেকে আট হাজার জাকের ভাই-বোন রয়েছে। তাই এ আসনে জাকের পার্টির গোলাপ ফুল একটি সম্মানজনক অবস্থানে থাকবে বলে আমি মনে করছি।

এছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীরা ভোটের লড়াইয়ে খুব একটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে না সদরবাসী।

নরসিংদী-১ আসনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীর প্রতিক বলেন, ৩ মেয়াদে গত ১৫ বছর যাবত আমি নরসিংদী-১ সদর আসনের সংসদের দায়িত্ব পালন করছি বিগত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ আমি করেছি বলে আমার মনে হয় না। তাছাড়া নরসিংদী সদর বাশির অপছন্দের লোকও আমি তাই আমাকে ভোট না দেওয়ার আমি কোন কারণ দেখছিনা। আমি  জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

 

নরসিংদীর খবর বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ