স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর পলাশে স্ত্রীকে হত্যা করে খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে গা ঢাকা দেয় পাষন্ড স্বামী রুপন আহমেদ রুপা। অত:পর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ নভেম্বর) ভোরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রুপন আহমেদের বাড়ি ঘোড়াশাল পৌর এলাকার মিয়াপাড়া গ্রামে। নিহত স্ত্রী সুমি আক্তার (২২) একই গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে মিয়াপাড়া গ্রামের রুপন আহমেদ (রুপা)-এর সাথে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। দুই বছর পূর্বে কাজের সন্ধানে সৌদিআরবে পারি জমান সুমি আক্তার। দেড় মাস আগে সুমি আক্তার ছুটিতে বাড়ি আসলে তার স্বামীর রুপনের সাথে টাকা-পয়সা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগে থাকতো। সুমী ও রুপা একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতের কোনো এক সময় ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী রুপাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহটি খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে সে। পরে সকালে তার চার বছরের এক ছেলেকে নিহত সুমির বোনের কাছে রেখে পালিয়ে যায় রুপন। খবর পেয়ে রবিবার বিকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এরপর অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ। ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো: হারুনুর রশিদ'র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সোমবার ভোরে স্ত্রীর মরদেহ দাফনের আগেই অভিযুক্ত স্বামীকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় রুপন আহমেদ রুপাকে আসামী করে নিহত সুমির বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকতিয়ার উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত রুপন আহমেদ রুপাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুপন তার স্ত্রী সুমিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহত সুমির বাবা ঘাতক স্বামী রুপাকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।'