• নরসিংদী
  • মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ০৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

পলাশের জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণা : বেকার ৭ হাজার শ্রমিক


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১:১৪ পিএম
পলাশের জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণা : বেকার ৭ হাজার শ্রমিক

হলধর দাস : নরসিংদী পলাশ উপজেলার জনতা জুটমিলের কতিপয় উশৃংখল শ্রমিকদের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের কারণে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য মিলটি বন্ধ ঘোষণা করেছেন। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর)সকালে মিলের প্রধান ফটকে মিল কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত ঘোষণার একটি নোটিশ সাটিয়ে দেয়।  এছাড়া, মাইকিংয়ের মাধ্যমেও শ্রমিকদের বন্ধ ঘোষণা জানানো হয়। এ মিলে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত । পুনরায় চালু করার সুনির্দিষ্ট তারিখ না থাকায় নীরিহ শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তুোষ দেখা দিয়েছে। বন্ধ ঘোষণার পর মিলের কলোনীতে বসবাসরত সহশ্রাধিক পরিবার কলোনী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। 

জনতা জুট মিলস লি: এর পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার মো: মতিউর রহমান সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, জনতা জুট মিলস্ লিঃ এ গত ৩ সেপ্টেম্বর হতে ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যবর্তী বিভিন্ন সময়ে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাঙ্গা হাঙ্গামা, বেআইনী ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মিল ভাংচুরে লিপ্ত ছিল। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পরায় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ি প্রতিষ্ঠানের সকল উৎপাদন কার্যক্রম ৭ সেপ্টেম্বর ‘এ’ শিফট হতে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মিল বন্ধ কালীন সময়ের দীর্ঘসূত্রতার প্রেক্ষিতে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা মোতাবেক উপযুক্ত শ্রমিকগন ধারা ১২(৬), ১২(৭) বা ১২(৮) অনুসারে মজুরী প্রাপ্য হবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল শ্রমিককে জনতা জুট মিলস্ লিঃ এর কর্মক্ষেত্রে যোগদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হলো। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পলাশের বাগপাড়া গ্রামে অবস্থিত আকিজ-বশির গ্রুপের মালিকানাধীন জনতা জুটমিলস লিমিটেড এর কতিপয় উশৃংখল শ্রমিক ১৪ দফা দাবিতে হামলা চালায়। এতে মিলের প্রশাসনিক ভবন, লেবার অফিস, নিরাপত্তা অফিস, গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় বাধা দিতে গিয়ে মিলের ছয়জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছে। খবর পেয়ে র‌্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এদিকে মিলের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

এ ব্যাপারে মিলের জেনারেল ম্যানেজার মো: মতিউর রহমান জানান, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে মিলটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত মিলের উৎপাদন বন্ধ থাকবে। 
 

অর্থনীতি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ