• নরসিংদী
  • শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

বড়ভাইকে হত্যার ১২ বছর পর ছোট ভাইকে হত্যার চেষ্টা!


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৩৯ পিএম
বড়ভাইকে হত্যার ১২ বছর পর ছোট ভাইকে হত্যার চেষ্টা!

স্টাফ রিপোর্টার: বড় ভাইকে হত্যার ১২ বছর পর নরসিংদীর ঘোড়াশালে একই কায়দায় ছোট ভাই রাকিব হোসেনকে (২৫) হত্যা চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে নরসিংদীর ঘোড়াশাল শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতু এলাকায় এঘটনা ঘটে।

বিষাক্ত ইঞ্জেকশন  গলায় পুশ করে হত্যা চেষ্টা করা হয় বলে আহত রাকিব জানিয়েছে। পরে জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দেন সে। বর্তমানে সে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত রাকিব নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল পৌরশহরের উত্তর চরপাড়া এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে। সে তার বাবার সাথে ফল ব্যবসা করে।

২০১১ সালে তার বড় ভাই রনিকেও তুলে করে নিয়ে হত্যা করা হয়। দেড়মাস পর রায়পুরার মেরাতলী গ্রাম থেকে রনির মরদেহ করেছিল পুলিশ।

আহত রাকিবের বাবা আবুল খায়ের জানান, ঘোড়াশাল উত্তরচর পাড়া (টেক পাড়াা) এলাকার মৃত হারেছ মিয়ার ছেলে মো. ওসমানের সাথে আবুল খায়ের মিয়ার জমি সংক্রান বিষয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল।

এর জেরে ১২ বছরে পূর্বে ২০১১ সালে আবুল খায়েরের বড় ছেলেস রনিকে তুলে নিয়ে হত্যা করে ওসমানের লোকজন। রনিকে তুলে নেওয়ার দেড় মাস পরে রায়পুরার মেরাতলী থেকে রনির মরদেহ করেছিল পুলিশ। রনি হত্যা মামলা বর্তমানে নরসিংদী জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। রনি হত্যার ১২ বছর পর একই কায়দায় আবুল খায়েরের ছোট ছেলে রাকিবকে হত্যার চেষ্টা চালায় ওসমান বাহিনী।

তিনি জানান, শুক্রবার বিকেলে  দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে তারেক, মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবিল তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি যেতে বাধা দিলেও রাকিব সেকথা না শুনে তাদের সাথে চলে যায়। পরে তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার ঘোড়াাশাল কালীগঞ্জ খেয়া ঘাটের মাঝিরা এসে জানায় রাকিবকে তারা শীতলক্ষ্যা নধী থেকে উদ্ধার করেছে নিয়ে এসেছে। তার অবস্থা গুরুত্বর নৌকায় শুয়ে রেখে আমাকে খবর জানাতে আসে তারা, পরে আমরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থা উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় রৌশন হাসপাতাল সেখান থেকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।

সেখানে নিয়ে যওয়ার পর তাকে দ্রুত ঢাকা নিয়ে যেতে বললে আমরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। বর্তমানে সে একটি প্রাইভেট হাসপতোলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রাকিবের জ্ঞান ফিরে এলে সে আমাদেরকে জানায়। তারেক ও আবিলে সাথে সে দোকান থেকে বের হয়ে। কিছুক্ষণ পর তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে একটি কাগজ আনার জন্য (সেটি রবিবার আদালতে দেওয়ার কথা) গাজীপুরের জয়দেবপুর একটি সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে উকিলের কাছে যায়। সেখান থেকে বের হয়ে দেখে তারেক, আবিল এবং তাদের সাথে ছিল  ওসমান মিয়ার ছেলে মো. ফাহিম (২৭), আবুল হাসেমের ছেলে মো. নাঈম (৩৫) মো. নাদিম (৩০) ও মো হৃদয় মিয়া। 

তারা তাকে ফলো করছিল। বিষয়টি অনুমান করতে পেরে রাকিব দ্রুত সিএনজিতে উঠে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু ঘোড়াশার শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতুতে উঠার আগেই তারেকদের সিএনজিটি তাকে বহন করা সিএনসজিকে ওভারটেক করে সামনে এসে গতিরোধ করে। এবং তাকে সিএনজি থেকে টেনে বের করে।

এক পর্যায়ে তার সাথে টানাটানি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে তারা আমাকে ধরে গলায় বিষাক্ত ইঞ্জেকশন পুশ করে। পরে সে জানে বাচবার জন্য সেতু থেকে নদীতে লাফ দেয়। তখন খেয়া ঘাটের দুইজন মাঝি তাকে উদ্ধার করে। 

এব্যাপার আহত রাকিবের বাবা আবুল খায়ের পলাশ থানায় রবিবার (২২ অক্টোবর) রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেয়ার উদ্দিন জানান অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

নরসিংদীর খবর বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ