• নরসিংদী
  • সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

সেবা গ্রহীতাদের দুর্ভোগের শেষ নেই  শিবপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:১৩ পিএম
সেবা গ্রহীতাদের দুর্ভোগের শেষ নেই  শিবপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে

স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা  নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোগান্তির যেন শেষ নেই সেবা গ্রহীতাদের। সেবা নিতে এসে সাধারণ মানুষ পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে। টাকা ছাড়া কাজই করতে চান না সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. ইসমাইল হোসেন। সেবা প্রার্থীদের সাথে করেন চরম দুর্ব্যবহারও।

সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দিনের পর দিন ঘুরলেও কাজ না করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অহেতুক হয়রানি করা হয় তাদেরকে।

জানা যায়, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিয়েও পাওয়া যায়না সমস্যার সমাধান। শুধু তাই নয় স্মার্ট কার্ড নিতেও একজন ব্যক্তিকে ঘুরতে হচ্ছে একাধিক দিন। জাতীয় পরিচয়পত্রের এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে দেরি হওয়ায় পাসপোর্ট ও চাকরিসহ বিভিন্ন জরুরি কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। এছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তার  কার্যালয়ের  ওই কর্মচারীর কারণে ভোটার আইডি কার্ডে দেখা দেয় বড় ধরনের ভুল যা সংশোধনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কার্ড হোল্ডারদেরকে।

আরও জানা গেছে, কম্পিউটার অপারেটর মো. ইসমাইল হোসেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। টাকা ছাড়া কোনো কাজ করতে চান না তিনি। ইসমাইল হোসেন বাহিরের কম্পিউটারের দোকানের সাথে চুক্তি করে কাজ করেন। সাধারণ মানুষ অফিসে গেলে তাদেরকে বাহিরে কম্পিউটারের দোকান দেখিয়ে দেয়া হয়। মানুষ কম্পিউটারের দোকানে ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা দিয়ে নতুন আইডি কার্ড বা সংশোধনের চুক্তি করেন। আর এসব কম্পিউটারের দোকান থেকে পার্সেন্ট পেয়েই নির্বাচন কর্মকর্তার কর্যালয়ের ইসমাইল হোসেন হয়েছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা  চোখের সামনে দীর্ঘদিন যাবত এসব কর্মকান্ড ঘটতে থাকলেও রহস্যজনক কারণে তিনি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে আসা বাবুল মিয়া বলেন, ভুল সংশোধন ও নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে অত্র কার্যালয়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ সেবা ভোগীদের। সামান‍্য একটি কাজে একাধিক বার এ কার্যালয়ে আসতে হচ্ছে সেবা ভোগীদের। আর এ জটিলতার সুযোগ নিয়ে এখানে গজে উঠছে দালালচক্র যে সকল সেবা ভোগী দালালদেরকে টাকা দিচ্ছে, তাদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে। আর যারা দালাল ধরা থেকে বিরত থেকেছে, তাদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে তাদের।

যোশর ইউনিয়নের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী জানান, আমার আইডি কার্ড করার জন্য নির্বাচন অফিসের ইসমাইল হোসেন ১৫০০ টাকা চেয়েছে।

জুয়েল নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমার ভাইয়ের নতুন আইডি কার্ডের জন্য ২৫০০ টাকা চাওয়া হয়েছে। টাকা ছাড়া তাদের কাছে সাইড পাওয়াই যায় না।

এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ইসমাইল হোসেন অফিস চলাকালীন সময় একটু পর পর উপজেলা মিলনায়তনের সামনে চায়ের দোকানে গিয়ে আড্ডায় বসে থাকেন। যারা টাকা দিয়ে কাজ করান শুধু তাদের কাজই করেন তিনি। আর বাকিদেরকে অফিসে রেখেই তাকে বাহিরে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়।।

অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,  আমি হজ্ব করে এসেছি, এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। 

তবে ইসমাইল হোসেন নামের এই ব‍্যক্তিটি যে কতটা সত‍্যবাদী যুধিষ্ঠির তার প্রমান পাওয়া যায় দুটি কলরেকর্ডে। 

এ ব্যাপারে শিবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারিজা নূরের সাথে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, আমি সম্প্রতি এ কার্যালয়ে যোগদান করেছি। তাই এসব বিষয়ে অবগত নই বা বিষয়গুলো আমার কানে আসেনি।  তারপরও আপনার মারফত যেহেতু বিষয়ে অবগত হয়েছি সেদিকে আমার নজর থাকবে। 
 

নরসিংদীর খবর বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ