• নরসিংদী
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

নরসিংদীতে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজার সংবাদ সম্মেলন 


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৩২ এএম
নরসিংদীতে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজার সংবাদ সম্মেলন 

মকবুল হোসেন: নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের দড়িনবীপুর গ্রামে চাচা ইব্রাহিম মিয়া মাহলাম (৫৭) এর কাছ থেকে কেনা ১৩ শতাংশ জমি এখন গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রবাসী মোঃ জলিল মিয়ার। জমি কেনার পর সাড়ে আট শতাংশ জমি বুঝিয়ে দিলেও দীর্ঘদিন ধরে অবশিষ্ট জমি বুঝিয়ে না দিয়ে তালবাহানা করে আসছে।

চাচার কাছ থেকে অবশিষ্ট সাড়ে চার শতাংশ জমি বুঝে নিতে এলাকাবাসীদের শরনাপন্ন হয়ে এখন বিভিন্ন হামলা - মামলা সহ যে কোন সময় প্রাণ সংশয়ের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন প্রবাসী মোঃ আব্দুল জলিল।
নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ সফিকুল ইসলাম'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী জলিল লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমার চাচা মৃত মৌলভী মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া মাহলাম (৫৭)এর কাছ থেকে দিলারপুর মৌজার খতিয়ান নং এস এ ১৭৪, আর এস ৬৩৯ নং আর এস খারিজা ১১৩৯৮ দাগ নং এস এ ১৭৩১ আর এস ৩৭২৬ দাগে ৩৩ শতাংশ ব্যুরো জমি হতে দক্ষিণাংশে ১৩ শতাংশ জমি দানকৃত রেজিস্ট্রি করে ক্রয় করি। পরবর্তীতে আমি যখন জমি মাপতে যাই তখন দেখি সেখানে জমির পরিমাণ কেবল সাড়ে ৮ শতাংশ। বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ জমির দখল চাইলে তিনি নানা তালবাহানা শুরু করেন। তার নিকট থেকে ১৩ শতাংশ জমি বুঝে নেওয়ার কথা বললে তিনি বলেন জায়গা কম হলে পাশের জায়গাও আমার সেখান থেকে আমি পূরণ করে দেব। পরে সে আমার প্রায়কৃত জমির পাশের রাস্তা সহ মেপে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এর সঠিক মীমাংসার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে ১০ বারের অধিক সালিশ বৈঠক ডেকেছি কিন্তু তাকে দরবারে বসানো যায় নি। অবশেষে নজরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গত ১১জুন ২০২৩ তারিখ নির্ধারণ করে তাকে নোটিশ পাঠালে তাতেও তিনি সাড়া দেননি। 
 আমি আমার জমি ফিরে পাওয়ার কথা বললে জমি দেওয়া তো দূরের কথা আমার সমস্ত জমি কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি আমাকে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। 

আমার প্রাপ্য জমি কেড়ে নেয়ার জন্য তিনি আমার নামে গত ১১মে ২০২৩ নিজে বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। (সি আর মামলা নং ৫৭৫/২০২৩)। অথচ বিগত ১০ বছরেও আমার সিলেটে যাওয়া হয়নি। গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ তার ভাগ্নি সেলিনা আক্তারকে বাদী করে  নরসিংদী কোর্টে আরেকটি মামলা দায়ের করেন ( সি আর মামলা নং ৫২৮/২০২৩)। আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য গত ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে নরসিংদী কোর্টে ইব্রাহিম মাহালাম নিজে বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে (দেওয়ানী মুকাদ্দামা নং ১৯৬/২০২৩)। এতেও তিনি ক্ষান্ত হননি। গত ২৬ ডিসেম্বর তারিখ রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় হঠাৎ তিনি তার বসত ঘরের মালামাল সরানো শুরু করে।

এত রাতে মালামাল সরানোর বিষয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হলে আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নরসিংদী মডেল থানায় অবগত করলে সেখান থেকে ৩ জন পুলিশ পাঠানো হয়। তারা মালামাল সরানোর কারণ জিজ্ঞেস করে আমাকে অভয় দিয়ে চলে যান। পরে গভীর রাতে আমার চাচা নিজের ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেন। যার ভিডিও চিত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। তাছাড়া  তার ছোট ছেলে শামীমকে মারধর করে আমার বিপক্ষে সাক্ষী দিতে রাজি করায়। অপরদিকে তার বড় ছেলে সাদেক হোসেন রাব্বি তার ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ধরনের পোস্ট করা সহ প্রায়ই হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে থানায় জিডি-অভিযোগ করেও আমি কোন প্রতিকার পাইনি।

গত ১৫ মে ২০২৩ এ আমার পিতা মো. ইসমাইল মিয়া নরসিংদী সাদার মডেল থানায় একটি জিডি করলে (জিডি নং- ১৩৭১) করলে তদন্তের পর মামলা হয়। এ মামলায় বিবাদী ইব্রাহীম মিয়া  গ্রেফতার হয়ে পরবর্তীতে জামিনে ছাড়া পেয়ে দলবল নিয়ে আমার বসতবাড়ীর উঠানে উপস্থিত হয়ে সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। আমার ভাই বউ ডাক্তার রুমা এর প্রতিবাদ করলে তারা সবাই মিলে তাকে মারধর করে এবং বাড়ির ভিতর ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। বর্তমানে তারা আমাকে জানে মেরে ফেলা সহ লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। 

এসময় তার ক্রয়কৃত জমি বুঝিয়ে দেওয়া সহ চাচার সকল প্রকার মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও হুমকি ধামকি থেকে মুক্তি পেতে  সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

 

অর্থনীতি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ