
মকবুল হোসেন : নরসিংদীর মাধবদী বাসস্ট্যান্ডে আদালতের রায়ের পর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বাদীকে জমির দখল হস্তান্তর বুঝিয়ে দিতে আসলে পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে ভোগ দখল থাকাকারী আনছর আলী গংদের বাধার মুখে পরেন প্রশাসন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। বাধারমুখে পরে একপর্যায়ে প্রশাসনের লোকজন জমির মালিকানার ডিক্রিপ্রাপ্তদের জমি বুঝিয়ে না দিয়ে চলে যেতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় আজ ২৫ জুন বুধবার নরসিংদী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের একটি মামলার (ডিক্রি নং-৬৯৬/২১) রায় বাস্তবায়নের লক্ষে মাধবদী থানাধীন মাধবদী বাসস্ট্যান্ডে পিপাসা সুইটমিট হতে খানদানি বিরানী হাউজের দোকান পর্যন্ত ডিক্রিকৃত সম্পত্তির দখল হস্তান্তর বুঝিয়ে দিতে আসে নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মাহবুবুর রেজা। বর্তমানে যারা জমিতে দখলে আছেন তাদের ১ ঘন্টার মধ্যে জমি খালি করতে ঢোল পিটিয়ে ঘোষনা দেন প্রশাসন। কিন্তু জমি দখলে থাকাকারীরা জমি ছাড়তে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা। পরে প্রশাসন ডিক্রি বাস্তবায়ন না করেই স্থান ত্যাগ করেন।
ডিক্রির মাধ্যমে জমির মালিক মেনহাজুর রহমান রাজু ভূঞার সূত্রে জানা যায় প্রায় ৫০ বছর পূর্বে নওপাড়া মৌজার একটি জমির পরিপেক্ষিতে আদালত থেকে এই জমিটি মালিকানার রায় পায়। আর সেই রায় যখন প্রশাসন বায়স্তাবায়ন করতে আসে তখন জমি বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো তাদের উপর হামলা করা হয়।
অপর দিকে ভোগ দখলকারী বর্তমান ভূমির মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এই ভূমি খালি করে দেওয়ার বিষয়ে তারা আগে কোন নোটিশ পায়নি। রাজু ভূঁইয়া যে জমির রায় পেয়েছেন, সেটি নওপাড়া মৌজার আওতাভুক্ত, অথচ বর্তমান জমির অবস্থান ছোট গদারচর মৌজায়। এই ভৌগোলিক অসামঞ্জস্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।