
হলধর দাস : বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এবারের এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফলে নরসিংদী জেলায় (ঢাকা বোর্ড) পাশের হার ৫৫.৪৯ ভাগ। এবছর জেলায় শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়ার ফলাফল অর্জন করেছে পলাশ উপজেলার ' ইউরিয়া সারকারখানা কলেজ '। এ কেলজ থেকে অংশগ্রহণকারী ১৪ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন ।
অপরদিকে, রায়পুরা উপজেলার মোসলেহ উদ্দীন ভূঞা কলেজ এর কোনো শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ৫ জন শিক্ষার্থীর সকলেই ফেইল করেছে।
জেলার ৭৮টি কলেজের মধ্যে শতভাগ ফলাফল অর্জন করতে না পারলেও সবচাইতে ভালো ফলাফল অর্জন করেছে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ ।
সারাদেশে ফলাফল বিপর্যয়ের মধ্যেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে এ কলেজটি।
কলেজের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ ২০১২ সাল থেকে টানা তিন বছর ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। গত ২০১৫ সাল থেকে বোর্ড কর্তৃক সেরাদের তালিকা না হলেও নিজেদের ধারাবাহিকতায় অক্ষুন্ন রেখেছে। এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ১৬৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ৫ জন অকৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৯৬ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১১৪১ জন অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮০ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩ জন। ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ১৮৩ জন অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৩ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন এবং মানবিক শাখা থেকে ৩৩৪ জন অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৩ জন।
জেলার ৭৮টি কলেজের মধ্যে বেশীর ভাগ কলেজেরই ফলাফলে দেখা যায়, পাশের চাইতে ফেইলের সংখ্যা বেশী। একটি কলেজ ছাড়া অন্য কোনো কলেজই শতভাগ উত্তীর্ণের ফলাফল দেখাতে পারেনি ।
নরসিংদী সদর উপজেলায় পাশের হার ৮১.৭২ ভাগ। সদরে ৩৫ টি কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৮,২৬২ জন । এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬,৭৫২ জন । অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১৫১০ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ৯২৫ জন।
সদরে এবং জেলায় সেরা আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ। ২য় ন্যাশনাল কলেজ অব এডুকেশন। তৃতীয়স্থানে নরসিংদী প্রেসিডেন্সি কলেজ।
পলাশ উপজেলায় পাশের হার ৬৫.০৩ ভাগ। পলাশে ৭ টি কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১৩৮৪ জন ।
এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯০০ জন । অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৪৮৪ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ২৩ জন। পলাশে প্রথম ইউরিয়া সারকারখানা কলেজ(জেলাতেও প্রথম)। পলাশে ২য় পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। ৩য় স্থানে পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজ।
শিবপুর উপজেলায় পাশের হার ৩৮.৫৬ ভাগ। শিবপুরের ১২ টি কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১৮৪৪ জন । এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭১১ জন ।
অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১১৩৩ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ১৪ জন। শিবপুরে ১ম শিবপুর মডেল কলেজ। ২য় শিবপুর আইডিয়াল কলেজ। ৩য় স্থানে বর্নমালা আইডিয়াল কলেজ।
মনোহরদী উপজেলায় পাশের হার ৫৩.০৮ ভাগ। মনোহরদীতে ৯ টি কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১৬২৪ জন । এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৬২ জন ।
অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৭৬২ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ৫৮ জন। মনোহরদীতে ১ম পাঁচকান্দি কলেজ। ২য় সরদার আছমত আলী মহিলা কলেজ। ৩য় স্থানে আফাজুদ্দিন খান কলেজ।
বেলাবো উপজেলায় পাশের হার ৩৯.৩৫ ভাগ। পলাশে ৫ টি কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৪৯৩ জন । এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯৪ জন ।
অনুত্তীর্ণ হয়েছে ২৯৯ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ০৪ জন। বেলাবোতে ১ম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজিব উদ্দিন খান কলেজ। ২য় বারৈচা কলেজ। ৩য় স্থানে নারায়নপুর রাবেয়া কলেজ।
রায়পুরা উপজেলায় পাশের হার ৫৫.২৪ ভাগ। পলাশে ১০ টি কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১১৩৫ জন । এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬২৭ জন ।
অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৫০৮ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ০৭ জন। রায়পুরায় ১ম স্থানে রায়পুরা মডেল কলেজ। ২য় রায়পুরা সরকারি কলেজ এবং ৩য় স্থানে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর কলেজ।