• নরসিংদী
  • শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ;   ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
website logo

বাজারে চিনির কৃত্রিম সংকট : দেশবন্ধুকে তলব করেছে ভোক্তা অধিকার 


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৩০ পিএম
বাজারে চিনির কৃত্রিম সংকট : দেশবন্ধুকে তলব করেছে ভোক্তা অধিকার 
দেশবন্ধু সুগার মিল

স্টাফ রিপোর্টার: চাহিদা অনুযায়ী বাজারে চিনি সরবরাহ না করে কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা এবং মিল গেটে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় দেশবন্ধু সুগার মিলস লিমিটেডকে তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোক্তা অধিকারে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদেরকে।

ভোক্তা আধিকার নরসিংদীর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম এ তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের নির্দেশনায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে শনি ও রবিবার দেশবন্ধু সুগার রিফাইনারি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ের ১০ থেকে ১২ দিন পর চিনি সরবরাহ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে শুনানির জন্য সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শুনানিতে উপস্থিত থাকা জন্য তাদেরকে ডাকা হয়েছে।

এছাড়াও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি করায় চার প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি জানান, অভিযানের প্রথম দিন ভোক্তা অধিকার দলটি দেশবন্ধু সুগার মিল গেটে কোনো মূল্য তালিকা পায়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংকট নেই। তারপরও চাহিদা অনুসারে ডিলারদের চিনি সরবরাহ না দিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন পর দিচ্ছে। এর ফলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে।

অভিযানের প্রথম দিন ভোক্তার প্রতিনিধি দল দেখতে পায়, দেশবন্ধু ব্রাজিল থেকে 'র' চিনি আমদানি করছে। 'র' চিনি প্রক্রিয়াকরণ করে ৫০ কেজির বস্তা করে সরবরাহ করছে। তবে কোম্পানিটির মিল গেটে কোনো মূল্য তালিকা টানানো হয়নি। এমনকি খুচরা বিক্রির জন্য কোনো ছোট প্যাকেট হচ্ছে না। কোম্পানিতে প্রতিদিন ৫০০ টন চিনি উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু চিনি কেনা-বেচা সংক্রান্ত কোনো তথ্য কারখানায় নেই। বলা হচ্ছে বনানীতে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে ক্রয় বিক্রয় তথ্য/এসও/ডিও সংরক্ষণ করা হয়।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে দেখতে পায় দুটি জাহাজে ২ হাজার মেট্রিক টন 'র' চিনি রয়েছে। এদিন প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ৪৫০ থেকে ৫০০ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। কোম্পানটিতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের কোনো সংকট নেই। তারপরও একাধিক এসও-তে চিনি উত্তোলনের নির্ধারিত দিনের ১০ থেকে ১২ দিন পর সরবরাহ করছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সারাদেশে ৭০ থেকে ৮০ জন ডিলার রয়েছে।

শুধু তাই নয়, পাকা রশিদ বা চালানে একক মূল্য উল্লেখ নেই। রবিবার ৪৫০ টন মোট ২৮টি ট্রাকে সরবরাহ করা হয়েছে। মিলের বাইরে ৭০ অধিক ট্রাক পার্কিং আছে চিনি লোড করার জন্য।

এছাড়াও ঘোড়াশাল বাজারে ২টি দোকানকে ধার্য করা মূল্যের বেশি মূল্যে চিনি বিক্রি করায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অর্থনীতি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ