• নরসিংদী
  • মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

নরসিংদী  মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ;   ২০ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
website logo

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই মেঘনায় বালুখেকোদের গুলিবর্ষণ! 


জাগো নরসিংদী 24 ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৪১ এএম
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই মেঘনায় বালুখেকোদের গুলিবর্ষণ! 

স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে মেঘনা নদীতে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করলেও তাতে মিলছে না কোন সুফল। বরং বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য দিনদিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

সর্বশেষ সোমবার (১৯ মে) দুপুরে রায়পুরার মির্জারচর যথেষ্ট সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে সশস্ত্র বালু দস্যুরা ভ্রাম্যমান আদালতের উপরগুলি বর্ষণ করেছে।  নরসিংদী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন রায়পুরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান রুবেল এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী  ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ও সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী  ম্যাজিস্ট্রেট নেপাল কান্তি দেব। 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহায়তায় রায়পুরা থানা পুলিশের ১৮/২০ জন সদস্য ও ৬/৭ জন আনসার সদস্য,  উপজেলার  গণমাধ্যম কর্মীদের তিন সংগঠনের ৩ জন সভাপতি।  

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের মধ্যে  আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যথেষ্ট সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতেই বালু খেকো সশস্ত্র বালু দস্যুরা গুলি বর্ষণ করে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন! আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এতো সদস্য উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও বালু খেকোদের গুলিবর্ষণের ঘটনাটি দুঃসাহসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান রুবেল বলেন, গোপন সূত্রে আমরা খবর পাই দূর্গম চরাঞ্জল চরমধুয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে কয়েকটি ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে দুপুরে আমরা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্টেটসহ চরমধুয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করতে যাই। অভিযানকালে দূর থেকে আমাদের দেখে তারা ড্রেজারসহ পালাতে থাকে।

আমরা তাদেরকে ধাওয়া দিলে দুইটি ড্রেজার থেকে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। সেসময় তারা একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। 

এসময় সন্ত্রাসীরা নদীর তীর, ক্ষেত ও পাশের ঝোপ জঙ্গলে অবস্থান নেয়। অবস্থা অনিয়ন্ত্রিত হওয়ায় কারণে ভ্রাম্যমান আদালতের সদ্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অভিযান স্থগিত করে ফেরত চলে আসি। এই অবৈধ বালু খেকোদের সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ সঙ্গবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়ে থাকে। তাই ভবিষ্যতে এইসব বালু সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে বড় পরিসরে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

তবে এত সংখ্যক শৃঙ্খলা সদস্যদের উপস্থিতিতে ভালো খেকোদের এই দুঃসাহসিকতার বিষয়টি জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান রুবেল এ প্রতিবেদকের কাছে সমুচিত দিতে পারেনি। বরং তাদেরকে  প্রশ্ন করতে বলেন তিনি। 

রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদ রানা বলেন, অভিযান পরিচালনা কালে ভ্রাম্যমান আদালত বালু খেকোদের ধাওয়া দিলে তারা ঝোপ-জঙ্গলে অবস্থান নিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান বন্ধ করে চলে আসে। অভিযানে প্রশাসনের উপর যারা গুলি চালিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ভবিষ্যতে আমরা সেনাবাহিনী,  পুলিশ, ও আনসারদের সমন্বয়ে  ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করব। আমাদের অভিযান বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অব্যাহত থাকবে।

এরআগে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি একই ইউনিয়নে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা কালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সাংবাদিকদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।

অর্থনীতি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ