
স্টাফ রিপোর্টার:নরসিংদীতে দেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ও নরসিংদী প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক আকরাম হোসেনসহ তার পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা বেলা ১১ টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নরসিংদী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন রাজু, আমরা নরসিংদীবাসী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তৌকির আহমেদ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, সহ সভাপতি মাইনুদ্দিন সরকার, নরসিংদী মহিলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আফরোজা সুলতানা মিনা, সাধারণ ফাহিমা খানম, বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি শরিফ ইকবাল রাসেল, নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এম ওবাইদুল কবির, মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি তৌহিদুর রহমান মিঠু, নিউজ টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি হৃদয় খান, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকা জেলা প্রতিনিধি শামীম মিয়া, কালবেলার জেলা প্রতিনিধি এনামুল হক রানা, কালের কন্ঠে (মাল্টিমিডিয়ার) জেলা প্রতিনিধি সুজন চন্দ্র বর্মণ, আমিনুর রহমান সাদি প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা হলো সমাজের দর্পণ। তারা লেখনির মাধ্যমে সমাজের দুর্নীতি ও অনিয়ম তোলে ধরেন। যার কারণে সাংবাদিকদের ক্ষমতাবানদের চক্ষু স্থূলে পরিণত হতে হয়। আকরাম হোসেন একজন সাহসি সাংবাদিক। তিনি দেশ টিভির মাধ্যমে নরসিংদীর রাঘব বোয়ালদের অনিয়ম ও দুর্নীতি তোলে ধরেছেন। যার কারণে অনেকে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে প্রাণনাশের উদ্দেশ্য আকরাম ও তার পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়। এতে অল্পের জন্য সে রক্ষা পায়। এঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজের মাধ্যমে দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও তারা জামিন নিয়ে বের হয়ে এসেছে। পুলিশ এখনও ঘটনার মূল হোতাকে চিহ্নিত করতে পারছেন না। যার কারণে আকরাম এখনও হুমকির মুখে রয়েছে। আমরা অবিলম্বে এ হামলার মূলহোতাকে আইনের আওতায় ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের বাসাইল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের হাসান সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দেশ টেলিভিশনের সাংবাদিক আকরাম হোসেন ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় অল্পের জন্য সপরিবারে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। এ সময় হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।