
কবিতা : জলসিঁড়ি
কবি : রৌনকা আফরুজ সরকার
২/২/২০১৬
জলসিঁড়িতে একটু বসতে দিলে
হয়তো আমি হব কবি,
আরেকটু বসতে দিলে
জলেতেই আঁকবো জলসিঁড়ির ছবি।
দিয়ে জলের সিঁড়ি
না জানি যাও তুমি কততলা বাড়ি,
আমারো ইচ্ছে করে যেতে
ক'টা সিঁড়ি আছে জানতে।
আমি কখনও রাখিনি জলের সিঁড়িতে পা
দেখিনি ডুবন্ত সূর্যটা,
দেখিনি জলের আকাশ
শুনিনি কেমনে কাটে জলের অবকাশ?
কখনও দেখিনি আমি জলে জলছাপ
দেইনি জলে ঝাপ,
জানিনা কেমন জলের অভিশাপ?
শুনিনি জলের প্রলাপ।
সেখানেও কি আছে ফুল পাখি?
আছে কি মায়াবী কোনো আঁখি?
মুক্ত পাখিরা কি উড়ে যায়?
সুরে সুরে কি গান গায়?
বলবে কি আমায়?
কোন পথে জলসিঁড়ি পাওয়া যায়?
বলবে কি আমায়?
কোন রথে জলসিঁড়ি যাওয়া যায়?
কবিতা : জনসংখ্যার ভারে ঐতিহ্য
তারিখঃ ২৭/১২/২০২২
বাড়ছে মানুষ উঠছে নতুন নতুন ঘরবাড়ি
জন্মাত যেখানে ধান কাড়িকাড়ি,
ধানের গোলা হয় যদি ভেংগে খানখান
থাকবে কি সোনার বাংলার মান?
কাটা পাহাড়গুলো কাঁপছে জ্বরে
লীলাভূমিতে ধরেছে ক্ষয়-হচ্ছে ধীরে ধীরে,
পাহাড়গুলো যায় যদি হয়ে সমতল
সোনার বাংলা পাবে কোথায় অতন্ত্র প্রহরী বল?
সরু হয়ে যাচ্ছে নদী কমছে তার সীমানা
নদীর তীরে বাড়িগাড়িওয়ালাদের জামানা,
নদীগুলো যদি সূতা হয়ে যায়
'নদীমাতৃক' নাম বাঁচানোর কি উপায়?
কার্বনডাইঅক্সাইড বেড়েছে বাতাসে
জনসংখ্যার ভারে ফুটা আজ আকাশে,
গাছপালা,বনজঙ্গল যদি উজাড় হয়ে যায়
অক্সিজেনের উৎস পাব কোথায়?
উঁচুতলা দালানের নিচে কোটি কোটি শাপলার কবর
মালিকতো রাখেনা জাতীয় ফুলের খবর,
যদি না বাঁচে শাপলাভূমি
তোমার ঐতিহ্যের কি পরিচয় দেবে তুমি?
ভাব বাঙালি! জন্ম দাও নতুন বিজ্ঞানের
ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে খুঁজ পথ উন্নয়নের,
ঐতিহ্যের যদি ধরে ক্ষয়
কোন পথে যাবে বাংলার জয়?
তারিখ : ১১/০৭/২০২১
কবিতা : ক্ষুধার্ত
রাজা স্বাধীন করে রাজ্য
ক্ষুধার্তে স্বাধীন করে খাদ্য।
কত রঙে,কত ঢঙে হয় নীতিহীন
নিত্য নতুন অপরাধ করে প্রতিদিন।
ক্ষুধার রাজ্যে সর্বদা চলে ভুমিকম্প
ক্ষুধার জ্বালায় ক্ষুধার্তে মারে লম্ফঝম্ফ।
প্রজা বস্ত্রহীন,বোবা তার ভাষণ
রাজা ব্যস্ত বানাতে নামীদামি আসন।
ক্ষুধার জ্বালায় পৃথিবী যার নরক তাসন
যায় ভুল পথে,বাড়ায় দূষণ।
তারা কেমনে মানিবে রাজার শাসন?
কেমনে করিবে নীতির তোষণ?
ঝলসানো নীতি বাক্যে ক্ষুধার্তের পেট ভরে না
নীতিহীনে ব্যাঙ্গ করে কতজনা।
ক্ষুধার্তের তরে
গীতিকার লেখে গান পাতা ভরে।
শুনো রাজার কুমার,
রাজ্য তোমার,
প্রজা তোমার,
ক্ষুধার লজ্জা ও তোমার।
বদলাতে হবে রাষ্ট্র পরিচালনার ধরণ
কমবে ক্ষুধার্তের বিচরণ।
রাজ্যে যদি থাকে ক্ষুধার্তজন
রাজা রাণীর কি প্রয়োজন?